স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের দাবিতে ঢাকায় আগামী ৩১ মে গণমিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। একই দাবিতে আগামী ১৭ মে সারা দেশে জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভা থেকে এ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ডামি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে বলেছেন, ইসলামী দলগুলোর নাকি ফিলিস্তিন ইস্যুতে কোনও মিছিল মিটিং তিনি দেখছেন না। এতে মনে হয় তার চক্ষু চিকিৎসা করানো দরকার।
তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার শুরু থেকে দলের আমির চরমোনাই পীরের নেতৃত্বে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের দাবিতে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহতভাবে করে আসছে। আগামী ১৭ মে সারা দেশে জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে।
গত ১০ মে ঢাকার বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশে দলের নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকারকে ফিলিস্তিনে সেনা প্রেরণের দাবি জানিয়েছেন। হাসান মাহমুদ সাহেবরা আন্তরিক হলে ফিলিস্তিনে সেনাবাহিনী পাঠিয়ে আন্তরিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, সরকার নিজেদের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করে সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠীর পদলেহনে ব্যস্ত। বিদেশের স্বার্থ রক্ষা করে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকতে চায়। এজন্য কখনো ভারত, কখনো চীন ও কখনো ওয়াশিংটনের তাঁবেদারিতে মরিয়া হয়ে উঠছে। দেশপ্রেমিকরা বিদেশি তাঁবেদার সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এজন্য রাজনীতিতে আদর্শিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে দেশপ্রেমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, আমেরিকার সাথে যেকোনো দেশবিরোধী চুক্তি করলে জনগণ তা রুখে দাঁড়াতে বাধ্য হবে।
এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, জিএম রুহুল আমিন, অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, মাওলানা আরিফুল ইসলাম।