গ্রামবাসী ঐ সংবাদদাতার কাছে অভিযোগ করেন, ইসরায়েলিরা সৈন্যরা সে সময় কাছেই ছিল এবং হামলাকারীদের নিরস্ত করার বদলে তাদের সাহায্য করেছে।
ঐ হামলার কয়েক ঘন্টা আগে অর্থাৎ রোববার সকালে ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীদের গুলিতে একটি ইসরায়েলি বসতির দুই বাসিন্দা নিহত হন। বলা হচ্ছে হাওয়ারা গ্রামে ঐ তাণ্ডব ছিল সেই হত্যার বদলা।
ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে এই হামলা-পাল্টা হামলা নতুন কিছু নয়। সহিংসতার এই চক্র গত ৫৬ বছর ধরে চলছে।
কিন্তু তারপরও গত এক বছর ধরে অধিকৃত পশ্চিম তীরে সহিংসতা এবং রক্তপাত যেভাবে দিনে দিনে বাড়ছে তাতে অনেক বিশ্লেষক বলতে শুরু করেছেন যে পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে।
ঘটছে কি?
বলা যেতে পারে ২০২২ সালের মার্চ থেকে পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে।
সে সময় কয়েকদিনের ব্যবধানে ইসরায়েলের ওপর পরপর কতগুলো হামলা হওয়ার পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী পশ্চিম তীরের বিভিন্ন শহর-গ্রামে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে।
গত বছরের মার্চ থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ইসরায়েলি সেনা অভিযানে পশ্চিম তীরে ১৪৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়। ২০০৪ সালের পর পশ্চিম তীরে এক বছরে এত ফিলিস্তিনি মারা যায়নি।
এ সময়ে ফিলিস্তিনিদের হামলায় ২৯ জন ইসরায়েলি মারা গেছে যে সংখ্যাও বিরল। .
এ বছরে এসে সহিংসতা কয়েকগুণে বেড়ে গেছে। প্রথম দুই মাসে মারা গেছে ৬০ জন ফিলিস্তিনি এবং ১৪ ইসরায়েলি।
গত দুই মাসে এমন কয়েকটি সহিংস ঘটনা এবং সেগুলোতে এত বেশি প্রাণহানি হয়েছে যার নজির সাম্প্রতিক সময়ে নেই।
গত বুধবার নাবলুসে ইসরায়েলি সেনা অভিযানে ১১ হন নিহত হয়। আহত হয় একশরও বেশি। ২০০৫ সালের পর পশ্চিম তীরে কোনে একটি সেনা অভিযানে এত লোক হতাহত হয়নি।
তার কিছুদিন আগে জেনিনে একটি ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি সেনা অভিযানে নিহত হয় ১০ জন।
তার আগের মাসে অর্থাৎ জানুয়ারিতে অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের এক ইহুদি বসতির মধ্যে একটি সিনাগগের সামনে এক ফিলিস্তিনির গুলিতে মারা যায় সাতজন ইসরায়েলি।
বিবিসির সংবাদদাতা ইয়োলান্দে নেল বলছেন পরিস্থিতি ‘টিপিং পয়েন্টে’ পৌঁছে গেছে অর্থাৎ আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে।
কেন বাড়ছে সহিংসতা?